একটি গল্প
লেখা পাঠিয়েছেন-
ডাঃ মোঃ শওকত আলী
ব্যাচঃ ১৯৮৪
ডাঃ মোঃ শওকত আলী
ব্যাচঃ ১৯৮৪
মন্টি মঙ্গল গ্রহের এক মেধাবী এলিয়েন। সেখানে এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে পিএইচ.ডি করছে। প্রথমে তাকে পিএইচ.ডির বিষয় নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে পুরো সৌরজগত ঘুরে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়।
মন্টি একে একে সবগুলো গ্রহ ঘুরে দেখলো। ভ্রমণ শেষে ক্লান্ত মন্টি মঙ্গলগ্রহে ফিরে সিদ্ধান্ত নিলো, সে পৃথিবীর উপর পিএইচ.ডি করবে। কারণ অন্যান্য গ্রহে সে অনেক কিছু দেখেছে, কিন্তু পৃথিবীর পানির মতো অসাধারণ কিছু তার চোখে পড়েনি।
যেই ভাবা, সেই কাজ! সে শীঘ্রই খাতা কলম গুছিয়ে রওয়ানা হলো পৃথিবীর উদ্দেশ্যে। সেখানে অনেক বাছাইয়ের পর বড়সড় একটি সাগরের পাশে গোপন গবেষণাগার খুলে বসলো। শুরু হলো মন্টির পিএইচ.ডির জন্য গবেষণা।
এভাবে প্রায় ১০ বছর ধরে গবেষণা চলার পর মন্টি ক্ষান্ত হলো। মনে মনে সে অনেক খুশি। এবার সরকারের পক্ষ থেকে গোল্ড মেডেল সে পাচ্ছেই।
মন্টি ফিরে আসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু তার কপাল মন্দ। সেশন জটের এক ধাক্কায় তার গবেষণাপত্র যাচাইয়ের কাজ পিছিয়ে গেল প্রায় ৪০ বছর।
মন্টি হতাশ হয়ে পড়লেও মনে মনে সান্ত্বনা নিলো, “তাও ভালো। Better late than never”। সুপারভাইজার স্যার মন্টির গবেষণার সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে তাকে নিয়ে পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করেন। মঙ্গল থেকে আসা মহাকাশযানটি মন্টির উল্লিখিত স্থানে এসে অবতরণ করে।
দরজা খুলে মন্টি বাইরে বেড়িয়ে আর্তনাদ করে উঠে। অপরদিকে সুপারভাইজারের চক্ষু চড়কগাছ। কোথায় মন্টির সাগর? কোথায় পৃথিবীর পানি? উল্টো মঙ্গলের চেয়েও ভয়াবহ এক মরুভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে তারা দুজন। সেখানে আবার এদিকে ওদিকে কয়েকটা মরা প্রাণীর হাড়ও পড়ে আছে। আকাশে পাখা মেলে উড়ছে কালো শকুন।
সুপারভাইজার মন্টির কান ধরে তাকে নিয়ে মঙ্গলগ্রহে ফিরে আসলেন। মন্টির ছাত্রত্ব বাতিল করে দেয়া হয়। অপমানে দুঃখে মন্টি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র:
আরাল সাগর নিয়ে গবেষনা। ৫০ বছরেই এই সাগরটি শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গেছে। টিকে আছে ১০% পানি। বর্তমান কাজাকিস্তান ও তাজাকিস্থান এ অবস্থিত এই হ্রদ। আরাল সাগরের বর্তমান অবস্থা বুঝাতে এই গল্পটি ফাঁদা হয়েছে, রোয়ার বাংলা (Roar bangla)নামক ফেবু পেজ থেকে নেয়া।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন