পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবন মানে ----------

ছবি
---------------------মাষ্টার এম, গিয়াস উদ্দিন (ব্যাচঃ ১৯৭৮) জীবন মানে কি ----------------------- দিকচক্রবালবিস্তৃত অসহ্য যাতনার তীব্র দাবানল? ক্ষুধা-দারিদ্র আর অনাগত ভবিষ্যতের  নির্মম প্রতারণায় ভীতসন্ত্রস্ত দিনাতিপাত? জীবন মানে কি ----------------------- প্রত্যাশিত রাঙা গোলাপের  কল্পনাবিহীন সকরুণ মৃত্যু? একটি আশাহীন ---------------------- স্বপ্নহীন জীবনের কষাঘাতে তিলে তিলে  আপনারে নিঃশেষিত করার নিছক দুঃস্বপ্ন? জীবন মানে কি--------------------- শোষণ- বঞ্চনা- অবিচার- নির্যাতন- ঘুষ- দুর্নীতি- সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় গণবিরোধী নীতির সাথে  গলাগলি- প্রশ্নবিদ্ধ প্রেম-প্রীতি  সুনিপুন ভন্ডামির বিকৃত পরিচর্যা? জীবন মানে কি--------------------- কেবল নিজেই বেঁচে থাকার আত্মবিলাসী- ঘৃনীত  স্বার্থপরতা  ? মানবিকতাবিহীন নির্মম-নিষ্ঠুরতা  অপরের সুখ শান্তি  সাধ আহলাদের বুকে তীব্র পদাঘাত করত  হিমালয় সম ধনী বড়লোক হবার জঘন্যতম  নগ্ন- প্রতিযোগিতা?  জীবন মানে কি ---------------------  শ্রেণীবিভাজনের নীতিতে অবিচল...

এপিঠ-ওপিঠ

ছবি
-------------------------------------------- আল নোমান (ব্যাচঃ ২০১৩) বৃষ্টি নামলে আমাদের এক শ্রেণির মানুষের আনন্দের সীমা থাকে না। ইট সুড়কির দালানে থেকে ইজি চেয়ারে গা হেলিয়ে দিয়ে সুখ স্বপ্নে গা ভাসিয়ে দেই। এ শ্রেনীর মানুষ গুলোর জন্য বৃষ্টি অনেক আনন্দের। কিন্তু একবার ও কি ভেবে দেখেছি একদল মানুষ আছেন যাদের জন্য বৃষ্টি কত কষ্টের? আপনি যখন দালানে বসে বৃষ্টিকে ঘিরে বিলাস বহুল সব আয়োজনে ব্যাস্ত ঠিক তখনই একদল মানুষ মাথা গোঁজার জন্য একটু ঠাই খোঁজায় ব্যাকুল হয়ে পড়ে। এই শ্রেনীর মানুষ গুলো বড্ড অসহায় হয়। এদের আপনার মত মাথা গোঁজার স্থান থাকে না। এরা ভাসমান। কখনো কি দেখেছেন এদের ব্যাকুলতা? দেখেছেন কি এদের মাথা গোঁজার ঠাই খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা? নবজাতক শিশুকে আঁচলে ঢেকে ঝুম বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর জন্য কোনো মায়ের ব্যার্থ চেষ্টা কি দেখেছেন? এই সব মায়েদের চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া কান্নার জল দেখা যায় না, কারন তা নিমিষেই বৃষ্টিতে মিলিয়ে যায়। আপনি যখন বৃষ্টিকে উপভোগ করার জন্য খিচুড়ির সাথে কালো ভূনা তৈরিতে ব্যাস্ত তখন ফ্লাইওভারের নিচে মাথা গুঁজা কোন এক মা পলিথিনে পেঁচিয়ে একটুকরো শুকনো রুটি বাঁচাতে ...

একাল-সেকাল

ছবি
 -------------প্রবাল ভৌমিক (ব্যাচঃ ১৯৯৮)  আমি এখন একজন মধ্যবয়সী। আমার একটা বলয় আছে। শৈশব, কৈশোর এ যারা আমার বলয়ে ছিল, তাদের অনেকেই এখন আমার বলয়ে নেই। তবে আমার মনে হয় মধ্যবয়সের বলয়টা অনেকটাই আবেগহীন, বাস্তবতা নির্ভর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। ২০০০ সাল পর্যন্ত আমি ছিলাম অনেকটাই ঘরকুনো; মা বাবার বাহুডোরেই ছিল আমার বিচরণ। তবে ২০০১ সালে আমার জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আসে। লিখাপড়ার সুবাদে ঘর হতে বের হতে হয়। এরপর লিখাপড়া শেষ করে চাকুরী, বাইরে বাইরেই জীবন কাটতে থাকে। মাঝখানে ৩/৪ বছর বাদ দিলে  সেই ২০০১ থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত, টানা তের বছর। এরপর আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসা, তবে ততদিনে বয়স ত্রিশের কোটায়, অর্থাৎ মধ্যবয়সী হয়ে গেছি। এই তের বছরের ঘরের বাইরের জীবনে আমি অনেক আবার বলছি অ-নে-ক কিছু শিখেছি। আমি ভাগ্যবান এই তের বছরে অনেক মানুষের সংস্পর্শ পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সমাজের উঁচু শ্রেণি, মধ্যবিত্ত শ্রেনি, নিম্ন শ্রেণি - সর্বত্রই ছিল আমার বিচরণ। উল্লেখ্য যে, এদের মধ্যে আমি অনেক রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক, পেশাজীবীরও সান্নিধ্য পেয়েছি। সবাই যে খুব আলোকিত ছিলেন তা ...

প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের পথচলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ছবি
২৬.০৩.১৯ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন  করা হয়। বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  ২৫.০৩.১৯ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের সাংস্কৃতিক দল X Pilotians' Cultural Team মীরসরাই স্বাধীনতা মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ১৪.০৩.১৯ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের স্পোর্টস দল X Pilotians' Sports Team প্রথমবারের মত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে (মোমিনটোলা বন্ধুমহল মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট) অংশগ্রহণ করে রানার্স-আপ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন।  ২১.০২.১৯ মহান একুশে ফেব্রুয়ারী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন  করা হয়। বিদ্যালয়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তাছাড়া পরিষদ কর্তৃক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও স্টাফ সম্মাননার আয়োজন করা হয়। এতে সম্মাননা প্রদান করা হয় ২৮ জন প্রাক্তন শিক্ষক ও ০৩ জন প্রাক্তন স্টাফকে।  ৭.০২.১৯-২১.০২.১৯ পরিষদের উদ্যোগে ২য় বারের মতো  শর্ট-পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন  করা হয়। টুর্নামেন্টে মীরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলার ১৬টি ক্রিকেট দল অংশগ্রহণ করে। উক্ত টুর্নামেন্টে ‘দুর্বার ক্রিকেট দল; ঠাকুরদি...

মনে পড়ল স্কুল জীবনের হারানো স্মৃতি

ছবি
  -------------------- মোঃ নূর উদ্দিন (ব্যাচ - ২০০৪) স্কুল জীবন, সেতো অমৃতের মতন। শুধু স্বাদ নিতে মন চায়। যখন ওই পর্যায়ে ছিলাম তখন লাগত গরল আর যখন পেরিয়ে বহুদূর চলে এলাম তখন লাগছে অমৃত-সম। জীবন টা এ রকম, কি করা যায়? স্কুল লাইফের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত ছিল ঘুম থেকে উঠা। কোন রকমে স্কুলে না যেতে পারলে যেন বাঁচি।আর নানা রকম তালবাহানা তো আছেই। যেমনঃ পেট কামড়ানো, এই বাহানাতো ছিল খুব কার্যকরী। অন্য দিকে বর্ষায় ইচ্ছে করে মাটিতে পড়ে যাওয়া। যেদিন স্কুলে যেতাম সেদিন হয়ে যেতাম বলিউডের শীর্ষ নেতা!তারপর ডাক পড়তো এসেম্বলিতে; সেখানে নানা রকম কথা আর স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুষ্টামি করার চেষ্টা। তারপর ক্লাসরুমে স্যার আসার পর বাড়ির কাজ দেখতেন কিন্তু বাড়ির কাজ আনি বা না আনি, বসে থাকতে ভুল করতাম না।এই ভাবে চলে যেতো এক একটি ক্লাস,ঘন্টা,দিন। স্কুল লাইফ মানে জানালা দিয়ে বইয়ের ব্যাগ ফেলে  মেইন গেট দিয়ে নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে বের হয়ে বাড়ি  চলে আসা। শেষের দিকে হয়ে খেলাম বড় ভাইদের মধ্যে একজন।নেতামি করতে গিয়ে মাইরও খেলাম অনেক শিক্ষকদের। এইভাবে চলে যেতে লাগল স্কুল জীবন। একসময় এলো বিদায় ন...

প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের উদ্যোগে নিরাপদ ও ঠান্ডা পানির প্ল্যান্ট স্থাপন

ছবি
মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ও ঠান্ডা পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ।  প্ল্যান্টের মূল কাঠামো বিদ্যালয়ের ১৯৯৫ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র জনাব আব্দুল মতিনের উদ্যোগে উক্ত প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ। উক্ত প্ল্যান্টে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক UV (Ultra Violate) প্রযুক্তিতে পানি বিশুদ্ধ হবে এবং আধুনিক পদ্ধতিতে সহনীয় মাত্রায় পানি ঠান্ডা হবে। বিদ্যালয়ের মডেল ভবনে স্থাপিত উক্ত প্ল্যান্টের মূল কাঠামো হতে প্রতি তলায় ০৩ টি করে পানি সরবরাহের কল স্থাপন করা হয়েছে; যার ০২ টি ঠান্ডা পানি এবং ০১ টি স্বাভাবিক পানি সরবরাহ করবে।  প্ল্যান্ট পরিদর্শনে উদ্যোক্তা জনাব আব্দুল মতিন (বাঁ দিক থেকে ২য়) উক্ত প্ল্যান্ট নির্মানে ব্যয় হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। এতে অর্থায়ন করেন ১৯৯৫ ব্যাচের ছাত্র ও প্রকল্প উদ্যোক্তা জনাব আব্দুল মতিন এবং ১৯৯৭ ব্যাচের ছাত্র জনাব সাইফুল ইসলাম।   আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্ল্যান্ট হস্তান্তর করা হয়  গত ১৫.০৭.২০১৮ তারিখ প্রাক্তন ছাত্...