পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

'পাঠশালা'র ৩য় সংখ্যার বিজয়ীদের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ

ছবি
সৃজনশীল লেখালেখিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গত ১৫.০২.২০১৮ তারিখ যাত্রা শুরু করে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের একটি  ব্লগ সাইট । এরপর থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে উক্ত  ব্লগে।  পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে পরিষদের একটি সেতুবন্ধন তৈরির লক্ষ্যে এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল লেখালেখির সুযোগ করে দিতে এই  ব্লগে  আলাদাভাবে  পাঠশালা  নামে একটি বিভাগ খোলা হয়। এই বিভাগটি নির্ধারিত হয় শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখা প্রকাশের জন্য।  বিগত দুই মাসের মত অক্টোবর '১৮ মাসেও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সংগৃহীত লেখা ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হয়  পাঠশালা  বিভাগে। প্রতিটি শ্রেণি থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থী সৃজনশীল লেখা জমা দেয়। শিক্ষার্থীদের লেখাসমূহ হতে বাছাই করে প্রতি শ্রেণি হতে এক বা একাধীক শিক্ষার্থীকে সেরা লেখক ও চিত্রশিল্পী নির্বাচন করে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মহিউদ্দিনের উপস্থিতিতে গত ১১.১১.২০১৮ তারি...

গোয়েন্দা অনন্য

ছবি
অনন্য নিলীম দে ৬ষ্ঠ ‍শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় একসময় এক ছেলে ছিল। তার নাম অনন্য । সে যখন ৯ম শ্রেনিতে পড়ে, তার দেখা হয় একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ গোয়েন্দার সাথে । সেই গোয়েন্দার নাম ছিল মারিয়ো জনসন । মারিয়ো জনসন বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, ঢাকা যাওয়ার পথে মিরসরাই নামক এক সুন্দর জায়গায় তিনি এক দূর্ঘটনার শিকার হন । তিনি যে গাড়িতে করে আসছিলেন, সেই গাড়িটি একটি বড় ট্রাকের ধাক্কায় পডে যায় এক খালে ।  অনন্য পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কেটে সেই গোয়েন্দা আর তার গাড়ি চালককে  বাঁচায় । তারপর অনন্য তার বাড়িতে সেই গোয়েন্দা আর তার গাড়ি চালককে আশ্রয় দেয় এবং এক হাসপাতালে চিকিৎসা করায় । তারপর এক সপ্তাহ পর তারা দুইজন যখন সুস্থ হয় তখন অনন্য কে মারিয়ো জনসন জিজ্ঞেস করে -  তুমি কী চাও?   অনন্য বলে -  আমি একজন গোয়েন্দা হতে চাই।  মারিয়ো জনসন বললেন -  আজ থেকে তুমি আমার শিষ্য ।  তারপর অনন্যকে শিষ্য হিসেবে তিনি নিয়ে গেলেন তাঁর দেশ আমেরিকায়। তারপর তাকে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে কঠোর প্রশিক্ষণ দিয়ে আবার ফেরত পাঠালেন ...

প্রিয় স্বাধীনতা (আঁকিবুঁকি)

ছবি
সাজেদা আক্তার আনিকা নবম শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

আমার প্রিয় খরগোশ

ছবি
বিবি আছমা  শ্রেণিঃ ৮ম, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়  আমার নাম আছমা। একদিন আমার বাবা আমার জন্য দুটি খরগোশ নিয়ে আসে। আমি খরগোশগুলোকে অনেক আদর করি। তাদের ঘাস খাওয়াই। আমি তাদের আমার পাশের রুমে রাখি। সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে আমি খরগোশগুলো দেখি, তারপর তাদের খাওয়ার দেই। আমি তাদেরকে গোসল করাই। আমি এখন ওদের ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারি না। স্কুলে যাওয়ার সময় তাদের সাথে কথা বলে যাই। আমি ওদের কথা বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি ওদের ভাব দেখে সব বুঝি। ওরাও আমার কথা বুঝে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে এসে হাত মুখ ধুয়ে আমাদের বাড়ির ফুলের বাগানে ওদের ঘুরতে নিয়ে যাই। বাগানে ওরা ঘুরে ঘুরে খেলে। ওদের ঘুরার পর ঘরে ফিরে ওদের রেখে হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসি।  তারপর পড়ার টেবিল থেকে উঠে ওদের সাথে কথা বলি। তারপর তাদের খাওয়ার দিয়ে আমি খেতে বসি। খাওয়ার পরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাদের দেখে আসি এবং ঘুমাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আবার ওদের সঙ্গী হই। তারা আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তাদের ছাড়া আমি এক মুহূর্তও থাকতে পারি না। এখন তারাই আমার প্রিয় বন্ধু। 

পানি ও বায়ু দূষণ (আঁকিবুঁকি)

ছবি
শাজরীল নিসপা শ্রেণীঃ ৬ষ্ঠ, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

আবার হাঁটবে আলাউদ্দিন, ফুটবে হাসি মুখে

ছবি
টানাটানির সংসার আলাউদ্দিনের। কখনো ট্রলি, কখনো নছিমন চালিয়ে কোন রকমে দিন কাটত তার৷ কিন্তু বিধি বাম। ২০০৯ সালের একদিন নছিমন চালানো অবস্থায় বড়তাকিয়া এলাকায় শিকার হয় ভয়াবহ দূর্ঘটনার। প্রাণে বেঁচে গেলেও বিকল হয়ে যায় ডান পা; পঙ্গু হয়ে যায় আলাউদ্দিন। এই বিকল পা সুস্থ করতে হলে প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা; প্রয়োজন   কয়েক লক্ষ টাকা।   সংসারের  একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি সে। সংসারই চলে না ঠিকঠাক, চিকিৎসা করাবে কিভাবে? ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ০৮ বছর অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। অনেকে আশার বানী শুনালেও এই পাহাড়সম চিকিৎসা ব্যয়ের ভার নিতে কেউই সম্মত হননি। হাল ছেড়ে দেয় আলাউদ্দিন। মুখের হাসি মিলিয়ে যায় তার, মেনে নেয় আজীবন পঙ্গুত্বের গ্লানি; চির দারিদ্র্য  সঙ্গী হয় তার। ২০১৮ সালের ২৬শে মার্চ মহান  স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে  "প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ; মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়" বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করে। অন্যান্য অনেকের মত  খবর পায় আলাউদ্দিন। মনঃস্থির করে, 'শেষ চেষ্টা; গিয়ে দেখি কিছু হয় কিনা।' চিকিৎসা ক্যম্পে তার অবস্থা দেখে তাকে ...

মা

ছবি
মাহদী মোহাম্মদ (ফাহিম) ৮ম শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মা, তোমায় ছাড়া আমি  কিছুই চাইনা এই ভূবনে, যখন দেখি তোমার মিষ্টি হাসি  দুঃখ থাকেনা আমার মনে। মনে ভাবি একদিন  ছিলাম তোমার কোলে,  তুমি আমায় ঘুম পাড়াতে  দোলনা দুলিয়ে।  মা, তুমি আমার এক জীবনে  একটাই প্রেরণা,  তোমায় ঋণ এই জীবনে  কখনোই শোধ হবে না।