পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শুভ ও সফল হোক ডাকসু নির্বাচন

ছবি
মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন ব্যাচঃ ১৯৭৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্রসংসদ তথা ডাকসু মানে এ বাংলা এবং বাঙালির রক্তাক্ত ও দুঃসাহসিক গর্বিত ইতিহাসের মহাভিত্তি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ধারক ও বাহক। সেদিনের ছাত্রনেতা ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানধ্যান ও বিজ্ঞোচিত দূরদর্শিতার কাছে পাকিস্তান সরকারের বাঘা বাঘা মন্ত্রী ও জেনারেলেরা চরমভাবে পরাজয় বরণ করেছিলো। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, সমগ্র বাঙালি জাতির উন্নতির পেছনে তার ভাষা, কৃষ্টিসভ্যতা ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ ব্যতীত ভিন্ন কোন পথ নেই। অনেক বাগ-বিতন্ডা আর ঘাত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে তাঁরা এসে দাঁড়ালেন ১৯৫২ সালের কোঠায়। এ ভাষা আন্দোলন ছিলো মূলতঃ সংস্কৃতির লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়িয়ে গেলো মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার আন্দোলনে।  ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে  সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ যে সংগ্রামের নবযাত্রা শুরু করলেন, পরবর্তীতে এ ডাকসু সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তা আরো বেগবান হলো। ভাষাসহ সমগ্র বাঙালির সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার তীব্র আপোষহীন সংগ্রামে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্রসংসদ তথা ডাকসু ছিল জাতির...

সৈয়দ আলী ও মুরগী চোর

ছবি
রিমা শর্মা ৬ষ্ঠ শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় একদেশে ছিল এক বনিক। সে বনিকের নাম ছিল সৈয়দ আলী। তাঁর ছিল মুরগির খামার। তিনি মুরগির ব্যবসা করতেন। তাঁর জীবন সুখ শান্তিতে কাটতে থাকে। তাঁর ছিল এক টিয়া পাখি। টিয়া পাখিটির নাম মিনি। মিনি সারাদিন উড়ে উড়ে মুরগির খামারের দিকে খেয়াল রাখতো। সৈয়দ আলী মিনিকে খাব ভালোবাসতেন। মিনিও সৈয়দ আলীকে খুব ভালোবাসতো। মিনিকে সৈয়দ আলী কথা বলতে শিখিয়েছিলেন। এখন মিনি পুরোপুরি কথা বলতে পারে।  সৈয়দ আলী ছিলেন অনেক বড় লোক। তাঁর বাড়িটি ছিল রাজপ্রাসাদের মতো। মুরগির খামারের পাশে ছিল তাঁর বাড়ি। একদিন তিনি বাড়িতে বিশ্রাম করছিলেন। সৈয়দ আলীর চোখে ঘুম চলে এলো। আর মিনি উড়ে উড়ে খামার পাহারা দিচ্ছিল। হঠাৎ একটা চোর সৈয়দ আলীর খামার থেকে তিনটি মুরগি নিয়ে পালাচ্ছিল। মিনি চোরকে দেখে চোর-চোর করে চিৎকার করছিল। চিৎকার শুনে সৈয়দ আলীর ঘুম ভেঙে গেল। তিনি বললেন,  কি হলো রে? কি হলো?  মিনি আবার চিৎকার করে উঠলো-  চোর, চোর।  এবার সৈয়দ সাহেব বাইরে এসে দেখলেন, চোরটা তাঁর মুরগি নিয়ে পালাচ্ছে। সৈয়দ আলীও তার পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলেন। সৈয়দ আলী ও চোর...

একটি কুৎসিত গাছ

ছবি
আরাফাত হোসেন (তাহসিন) ৭ম শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় একসময় এক বনে ছিল একটি কুৎসিত গাছ। গাছটির ডালপালা এবং কান্ড সবটাই ছিল আঁকাবাঁকা এবং গাছটি ছিল গর্তে ভরা। তবে সে এটা তার দুর্বলতা মনে করতো না। তার আশেপাশে অনেক গাছ; যেমনঃ লিচু, আম, পেয়ারা, কেওড়া, কড়ই, মেহগনি ইত্যাদি গাছগুলো সবসময় তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো। তারা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো। তাকে নিয়ে বলতো, "বন্ধু, তুমি খুবই কুৎসিত, তুমি এই বনের সৌন্দর্য নষ্ট করছো।" সব গাছই নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করতে লাগলো।  কুৎসিত গাছটি চুপ করে থাকল। মনে মনে ভাবল, "সৃষ্টিকর্তা আমাকে এই কুৎসিত দেহ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এর পেছনে কোন না কোন কারণ আছে।" একদিন একদল কাঠুরে এল গাছ কাটতে। তারা কুৎসিত গাছটি দেখল এবং বলল, এই গাছটি তাদের কোন কাজেই আসবে না। তাই তার অন্য গাছগুলো কাটতে লাগলো। কাঠুরেরা অন্যসকল গাছ কেটে নিয়ে গেল। তখন গাছটি ভাবলো, "সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয় যা করেন, ভালোর জন্য করেন।" 

স্বাধীনতা

ছবি
মাসুমা আক্তার আইরিন ৭ম শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পূর্ব পাকিস্তানে জ্বলছে আগুন  পুড়ছে ঘর বাড়ি, মরছে মানুষ নির্বিচারে  শিশু পুরুষ নারী।  মন কাঁদে ভাই দেখে  লাশের সারি, অবিবেচক রাজাকাররা মানবতা ভুলে  করছে খুনো-খুনি।  মানুষের দুঃখ দেখতে না পেরে  শেখ মুজিব করে প্রতিবাদ, ডাক দিল বঙ্গবন্ধু  সাড়া দিল বাঙ্গালী।  শুরু হল যুদ্ধ  সাহস দিল মিত্ররা, আশ্রয় দিল সাহস দিল করলো সহযোগিতা।  রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হলো  পেলাম মোদের বাংলা, স্বাধীনতা আর্জিত হলো  উড়ল লাল সবুজের পতাকা। 

বাড়ছে পানি উপচে নদী

ছবি
তাজনীন খানম অহনা ষষ্ট শ্রেণি, মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ঝর ঝর ঝর ঝরছে  বৃষ্টি সারা বেলা, বাড়ছে পানি উপচে নদী করবো নাকো হেলা। বাঁধের উপর উঁচু স্থানে  উঠি সবাই মিলে, বইখাতাও নিতে হবে  থাকবো নাকো ভুলে।  পানির ভিতর খেলাধুলা বন্ধ একেবারে রোগ জীবানু  পোকা-মাকড়  সাপও থাকতে পারে।  ছোট্ট শিশুর জন্য আছে  ডুবে যাওয়ার ভয়, ছোট বড় সবাইকে তাই  সজাগ থাকতে হয়।