পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধ্বংস_হোক_আমার_কি....!!!!!

ছবি
সাইফুল ইসলাম নাঈম, ব্যাচঃ ২০১০ পৃথিবীটা খুব সুন্দর, কিন্তু আমরা!! আমরা কি করছি!? ছোট্ট জীবনে বাসযোগ্য করার নামে দিনকে দিন তাঁকে হত্যা করছি আমাদের প্রয়োজনের বেশি লালসা এই সবুজ গ্রহটারে ধ্বংস করছি। ছোট্ট সময়ে - আমরা নদী দখল করছি, সাগর দখল করছি, অধিকার হরণ করছি, বন উজাড় করছি। বিশ্বাস করুন আমার বাড়ির পাশের পাহাড়গুলোকে এখন মৃত মনে হয়, যে বনে আমি আগে কত নাম না জানা গাছ লতাপাতাতে সাজানো দেখতাম এখন দেখি শুধু আকাশমণি ঠাঁই দাঁড়িয়ে। আমাদের লালসার স্বীকার হয়ে রুপ হারিয়ে মরেছে। কত কিছুই না করছি ছোট্ট সময়ে জাতি তৈরি করছি, বর্ণ তৈরি করছি, একি গ্রহে বাস করে আবার কাঁটা তারের বেড়া তৈরি করছি। একটা নীল আকাশের নিচে বাস করে আমরা কতই না মতভেদে জড়াচ্ছি। সম্পর্কে কাগজ ঢুকিয়ে দিচ্ছি। ভালোবাসায় প্রতারণার বিষ ঢালছি করছি পূজা, প্রার্থনা শব্দ নিয়ে হাঙ্গামা। বুঝছেন-?? আমরা ঝর্ণা ধারা দেখে ক্ষান্ত হইনি সেখানে মূত্র বিসর্জন করছি। আমরা শুধু বনের জীব, হরিণীর সৌন্দর্যে অভিভুত হয়ে থমকে যাইনি- তাঁর মাংসের স্বাদ নিতে স্ব-সব্যাস্ত হয়ে গেছি। আমরা শুধু মাটিতে ফসল ফলাতে শিখিনি- উর্বর মাটিতে বোমা ফ...

একটি গল্প

ছবি
লেখা পাঠিয়েছেন- ডাঃ মোঃ শওকত আলী ব্যাচঃ ১৯৮৪ মন্টি মঙ্গল গ্রহের এক মেধাবী এলিয়েন। সেখানে এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে পিএইচ.ডি করছে। প্রথমে তাকে পিএইচ.ডির বিষয় নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে পুরো সৌরজগত ঘুরে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়। মন্টি একে একে সবগুলো গ্রহ ঘুরে দেখলো। ভ্রমণ শেষে ক্লান্ত মন্টি মঙ্গলগ্রহে ফিরে সিদ্ধান্ত নিলো, সে পৃথিবীর উপর পিএইচ.ডি করবে। কারণ অন্যান্য গ্রহে সে অনেক কিছু দেখেছে, কিন্তু পৃথিবীর পানির মতো অসাধারণ কিছু তার চোখে পড়েনি। যেই ভাবা, সেই কাজ! সে শীঘ্রই খাতা কলম গুছিয়ে রওয়ানা হলো পৃথিবীর উদ্দেশ্যে। সেখানে অনেক বাছাইয়ের পর বড়সড় একটি সাগরের পাশে গোপন গবেষণাগার খুলে বসলো। শুরু হলো মন্টির পিএইচ.ডির জন্য গবেষণা। এভাবে প্রায় ১০ বছর ধরে গবেষণা চলার পর মন্টি ক্ষান্ত হলো। মনে মনে সে অনেক খুশি। এবার সরকারের পক্ষ থেকে গোল্ড মেডেল সে পাচ্ছেই। মন্টি ফিরে আসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু তার কপাল মন্দ। সেশন জটের এক ধাক্কায় তার গবেষণাপত্র যাচাইয়ের কাজ পিছিয়ে গেল প্রায় ৪০ বছর। মন্টি হতাশ হয়ে পড়লেও মনে মনে সান্ত্বনা নিলো, “তাও ভালো। Better late than never”। সুপারভাইজার স...

নয়া বছরের শপথ

ছবি
মাহ্দী মোহাম্মদ (ফাহিম) শ্রেণি- ৮ম, রোল- ২১ মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আজ হতে শপথ নিলাম লেখাপড়া করব লেখাপড়া করে আমি অনেক বড় হবো। আজ হতে মাতা পিতার সেবা আমি করবো তাদের সেবায় সব সময় নিয়োজিত আমি থাকবো। আজ হতে নামাজগুলো জামায়াতে পড়বো খোদার পথে চলার জন্য জীবন দিয়ে লড়বো। আজ হতে শপথ করলাম সত্য কথা বলবো সত্য কথা বলে আমি  আদর্শবান  হবো। 

মুখস্থ বিদ্যা

ছবি
মাষ্টার এম, গিয়াস উদ্দিন ব্যাচঃ ১৯৭৮ পৃথিবীতে আলোচিত কোন অর্জনই সহজলভ্য নয়, দুর্লভ। কারো হিমালয় বিজয়ে আমরা সানন্দে লাফিয়ে উঠি। কিন্তু আমাদের পুবদিকের এ চন্দ্রনাথ পাহাড়ের নামমাত্র উঁচুনিচু স্থানে উঠে নিচে তাকানোর সাহস তেমন কারো নেই। মনের সাহসই হলো মানব জীবনের সফলতার অন্যতম বিশেষ উপাদান। গ্রাম্য ছোট্ট পুকুরে সাঁতরানোর অভ্যেস যাদের নেই, ছোটবড় নদী সাঁতরিয়ে ওপারে যাবার ইচ্ছে তাঁদের ভেতর জাগ্রত হবার কথা ভাবাতো নিছক পাগলামি। সে যুগে সমগ্র ভারতবর্ষের শিক্ষা ও শিক্ষানীতির সকরুন অবস্থা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “মদ খেয়ে মাতলামি করে দোষ দেয় তালগাছের।” মানে, সে যুগে তালের রস দিয়ে এক প্রকারের মদ তৈরী হতো। আসলে, আমাদের জীবনধারণ ও জীবনাবকাশের নানান উপদানগুলোর যথাযথ বাস্তব প্রয়োগের নিয়মনীতির উপর নির্ভর করে সমাজ ও মানুষের প্রকৃত বিকাশ।  অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকমন্ডলীর মধ্যে কোন কোন চরম গাফিলতির কারণে আমাদের শিক্ষানীতি বারংবার হোঁচট খাচ্ছে। সরকারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের আশাহত দুর্বলতা ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যত দিনগুলোতে কী হবে তা আমাদের অজানা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের...

হাতুড়ে ডাক্তারের গল্প

ছবি
বিবি মরিয়ম, রোল- ১৮, শ্রেণি- ৭ম মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় একজন হাতুড়ে ডাক্তারকে রোগী দেখার জন্য ডাকা হলো। তিনি রোগীর বাড়িতে গিয়ে দেখেন রোগীর ভীষণ জ্বর। রোগীর হাত নিয়ে নাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করলেন ডাক্তার সাহেব। নাড়িতে হাত রেখেই বললেন, মনে হয় তুমি বেশি পরিমাণে তেঁতুল খেয়েছ। রোগী সত্যিই তেঁতুল খেয়েছিল। তাই রুগ্ন ব্যক্তি অবাক হয়ে গেল এই ভেবে যে, ডাক্তার সাহেব কিভাবে নাড়িতে হাত রেখেই সে কি খেয়েছিল তা বলে দিল! নিশ্চয়ই তিনি একজন খাঁটি ডাক্তার। সুতরাং, ডাক্তার সাহেবকে ফি দিয়ে সসম্মানে বিদায় দেয়া হল। ডাক্তারের সাথে সহযোগি হিসেবে তাঁর ছেলেও এসেছিল। ফিরে যাওয়ার সময় সে তার পিতাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কিভাবে জানতে পারলেন যে রোগীটি তেঁতুল খেয়েছিল? ডাক্তার সাহেব বললেন, "রোগীর চৌকির নিচে তেঁতুলের খোসা দেখেছিলাম, তাই আমি অনুমান করলাম যে সে তেঁতুল খেয়েছে।" ছেলে ভাবল, বাহ! ডাক্তারি তো দেখি অনেক সহজ কাজ! তাই ছেলেও ডাক্তারি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল।  একদিন এক হাঁপানি রোগীর বাড়িতে গিয়ে ওই ছেলে দেখল রোগীর চৌকির নিচে ছেঁড়া জুতো। তখন পিতার চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে সে রোগীর নাড়িতে হাত ...

গ্রামের দৃশ্য (আঁকিবুঁকি)

ছবি
নামঃ  মোমেনা আক্তার (মুন্নী) শ্রেণিঃ নবম;      রোল নংঃ ০৯;       বিভাগঃ ব্যবসায় শিক্ষা

'একাল-সেকালঃ'- কিছু অজানা কথা

ছবি
মাষ্টার এম, গিয়াস উদ্দিন (ব্যাচঃ ১৯৭৮) মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের জীবন সচেতন সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক মিঃ প্রবাল ভৌমিকের একটি লেখা  'একাল-সেকাল'  প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। এ লেখাটা আপাতঃ হাতেগোনা কিছু বাক্যের মধ্যে সীমিত বটে কিন্তু বাস্তব চিন্তার গভীরতা বিশাল ও বিস্তৃত। প্রতিটি ছাত্র- তরুণ  এবং যুবসমাজ তাদের নিজ নিজ সর্বতোমুখী সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে এ লেখা আশাতীত প্রেরণ যোগাবে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। একজন ছাত্র-ছাত্রী কিভাবে কোন্‌ পদ্ধতি অনুসরণে মেধাবী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, তা এ লেখাটা পড়লে বোঝা যাবে। লেখকের জীবনে এ পর্যন্ত যে সফলতা তার প্রক্রিয়াগত নিয়মাবলী অতি সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় আলোচিত হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষাস্তরে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীকে মেধাবী ও সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবক এ তিনের বাস্তব পরিকল্পনা ও সমন্বয় থাকতেই হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। শিক্ষা বিকাশে এ তিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে কোন না কোন দুই/একটি উপাদান প্রায় ...

ছোট নেইমার

ছবি
>>>> অনন্য নিলীম দে  >>>> রোল নংঃ ০২ >>>> ষষ্ট শ্রেণি >>>> মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এক আজব ছেলে অনন্য। অনন্য ফুটবল খেলা বেশ পছন্দ করে। তার প্রিয় খেলা ফুটবল। সে ফুটবল বিশ্বকাপে প্রতিবার শুধু একটা দলকে সমর্থন করে, দলটির নাম ব্রাজিল। অনন্য জানে, ব্রাজিল হল বিশ্বের একমাত্র দল, যে দল ০৫ বার ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করতে সক্ষম হয়েছে। ব্রাজিলের পেলে, রোনালদো, রোনালদিনহোর মত খেলোয়াড়গুলো অনন্যর অনেক প্রিয়। পেলেকে ফুটবলের রাজা বলা হয়।  কিন্তু এতসব খেলোয়াড়ের মধ্যে অনন্যর সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় বর্তমান ব্রাজিল ফুটবল দলের এক নাম্বার স্ট্রাইকার নেইমার। নেইমারের খেলার পদ্ধতি, চাল-চলন প্রভৃতি অনুশীলন করে অনন্য। যেমনঃ অনন্য ফুটবল খেলার সময় বল পেলেই একা ৫-৬ জন খেলোয়াড় থেকে বল কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে গোল করে; সে নেইমারের চুলের ধরণও অনুশীলন করতে চায়। নেইমারকে সে তার গুরু মনে করে। বড় ছেলেরা পর্যন্ত তার কাছ থেকে বল দখলে নিতে পারে না।  অনন্যর জীবনের লক্ষ হল নেইমারের মত এক অসাধারণ খেলোয়াড় হওয়া। তার স্বভাব ও খেলায় মুগ্ধ হয়ে সবাই তাকে ছোট ...

প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ; মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ঃ- কিছু কথা

ছবি
-----------------------------এম, গিয়াস উদ্দিন (ব্যাচঃ ১৯৭৮) চিন্তা মানুষের সহজাত প্রবণতা। যুগে যুগে এ চিন্তা সৃষ্টিশীলতার বাহন। মানুষের এ চিন্তার ফসল আজকের এ বিশ্বসভ্যতা। পৃথিবীর অন্য কোন প্রানী তা পারেনি। বিশ্বব্যাপী এ সভ্যতা কিন্তু সুদূর আকাশ থেকে কিংবা পাতালের অতল গভীর হতে হঠাৎ বেরিয়ে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে মানুষের শ্রম, মেধা, গভীর অধ্যাবসায়, গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অর্জিত জ্ঞানের সুনিপুন বাস্তব প্রয়োগ। সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, "আজকের শিশু আগামীদিনে জাতির ভবিষ্যৎ।" কিন্তু বর্তমানে তারা কী? কোথায় ও কেমন আছে? জাতির ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে আত্মপ্রকাশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ তাঁদের অনুকুলে কতটুকু আছে, তা নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা কারো মাঝে তেমন নেই। যতটুকু পরিবেশ বিরাজমান তা প্রায় গতানুগতিক। একে সভ্যতা বিকাশের যুগোপযোগী বলা মানে, নিছক বাতুলতা বৈকী। এবং এ প্রশ্নের যথার্থ কোন জবাব মেলেনা। তাহলে শুধু কী ফি বছর অতিবাহিত করে একটি মানব সন্তান কেবল শারীরিকভাবে বেড়ে উঠলেই সে কী জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারী বলে বিবেচিত হবে? যেকোন মানুষের চিন্তা-চেতনা বিকশিত করার যথার্থ মাধ্যম ...