পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বন্ধন

ছবি
জান্নাতুল কারিশমা (সিমী), ১০ম শ্রেণি মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় বাবার সরকারী চাকরি হওয়ায় বাবাকে অনেকবার বদলি হতে হয়। আগে ছিলাম কুমিল্লায়, এখন ঢাকায়। আজকে নতুন বাসায় শিফট হচ্ছি। ঢাকায় আমি আগে অনেকবার এসেছি কিন্তু এবার পারমানেন্টলি এলাম। গাড়ি থেকে নামলাম। দেখি খুব বড় বিল্ডিং। গেট দিয়ে ঢুকতেই একটা বল আমার হাতের কাছে এসে পড়ল। বলটা মাটি থেকে তুলে নিয়ে এটিু সামনে এগুতেই দেখি একটি পাঁচ বা ছয় বছরের মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তার নাম জিজ্ঞাসা করলাম কিন্তু সে আমার হাত খেকে বলটা নিয়ে দৌড়ে তার বাসায় ঢুকে পড়ল। এর মধ্যে মা আমাকে ডাকছে। মার ডাকে আমি বাসায় ঢুকে পড়লাম। এরপর মার সাথে ঘর ঠিক করার কাজে লাগালাম।  এরপর নতুন ভার্সিটিতে ভর্তি আর নতুন জায়গায় এডজাস্ট করতে করতে সে মেয়েটির কথা খেয়ালই নেই। এখাবে প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেল। একদিন ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরে দেখি আম্মুর সাথে একজন প্রতিবেশি দেখা করতে এসেছেন। তাকে সালাম দিয়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকতেই দেখি সে বাচ্চাটা নির্দ্বিধায় আমাদের ড্রয়িং রুমে বসে মটু-পাতলু দেখছে। আমি তার পাশে গিয়ে বসলাম। তারপর তাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করলাম। সে বলল তার ন...

ভ্রমণ কাহিনী

ছবি
নাহিয়ান জান্নাত, ৬ষ্ঠ শ্রেণি মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আমি নাহিয়ান জান্নাত। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গত ডিসেম্বরে আমি কক্সবাজার যাই পরিবারের সাথে। সেখানে আমি পরিবারের সাথে আনন্দময় সময় কাটাই। সেখানে আমরা এক সপ্তাহ ছিলাম। প্রথম ও দ্বিতীয় দিন আমরা পুরো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এর দৃশ্য উপভোগ করি। তৃতীয়দিন আমরা কক্সবাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে হিমছড়ির সৌন্দর্য ও হিমছড়ি ঝর্ণার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করি। ৪র্থ দিন আমরা মহেশখালির ঘুরতে যাই এবং ৫ম দিন আমরা জাহাজে করে স্বপরিবারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। জাহাজে বসে সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে দেখতে আমি ভাবছিলাম, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের দৃশ্য দেখতে দেশ বিদেশের মানুষ কেন এত আগ্রহী? আসলে এ’দুটি স্থান প্রকৃতির লীলাভূমি; এখানে আসলে মানুষ তার দুঃখ কষ্ট সব ভুলে যায়। তারপরদিন আমরা আবার কক্সবাজার ফিরে আসি। কক্সবাজারে সূর্যাস্ত দেখে আমরা মুগ্ধ হই। রাতে সবাই মিলে সেন্টমার্টিনে কাটানো মনোরম সময়গুলো স্মরণ করে গল্পে মেতে উঠি।  বাবা ও মায়ের কাছ থেকে আমি জানতে  পারি যে, সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয় এবং...

অমর একুশে (আঁকিবুঁকি)

ছবি
আফরিন জেরিন জিমলী, ৬ষ্ঠ শ্রেণি মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

জাতির জনক

ছবি
মোঃ ফারহান তানভীন শুভ, নবম শ্রেণি মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জন্ম তাঁর ১৯২০ সালে শ্রেষ্ঠ বাঙালি তিনি সর্বকালে। মানুষের জন্য উজাড় ছিল তাঁর মন মানুষের সেবা তিনি করেছেন সারাজীবন। শীতকালে এক বুড়ি কাঁপছিল থরো থরো নিজ চাদর দিয়ে তিনি বললেন, এই নাও তুমি পরো। স্বাধীনতার যুদ্ধে যিনি করেছেন সংগ্রাম  তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণায় যিনি সাহস যুগিয়েছেন মানুষের মনে সারাজীবন তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের প্রাণে। মৃত্যুকে তিনি পাননি কখনো ভয় তিনি বাংলাদেশের মানুষের মন করেছেন জয়।  তিনি জানতেন মৃত্যু হবে একদিন না একদিন মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারবেনা কেউ কোনদিন। ৭৫' সালে নেমে এলো এক ভয়াল শোক তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করল কিছু বিশ্বাসঘাতক। এই শোক ভুলবেনা কেউ কোনদিন, বাঙালিরা বেঁচে থাকবে যতদিন।। 

আমার টিয়া পাখি

ছবি
রামিছা ফারিয়া চৌধুরী, শ্রেণিঃ ৮ম মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আমার নাম রামিছা। আমার একটি টিয়া পাখি আছে। এটি আমার জন্মদিনে আমার মামা উপহার হিসেবে দিয়েছেন। আমি আমার মামার দেওয়া সেই উপহারটি দেখে খুব খুশি হয়েছিলাম। আমি পাখিটির নাম রাখি মিঠু। আমার অবসর সময় কাটাই মিঠুর সাথে। আমি যখন যা করি, সেটি মিঠু আমার মতো করার চেষ্টা করে। আমার কোন কিছু হারালে সে খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি যখন  ভাত খাই, তখন সেও ভাত খেতে বসে। আমি যখন পানি খেতে বসি, সেও  পানি খায়। আমি যখন গোসল করার জন্য প্রস্তুতি নিই, তখন মিঠু তার কাছে রাখা পানিতে গা ভেজাতে শুরু করে।  মিঠু যেদিন প্রথমবারের মতো আমার নাম ধরে ডেকে আমাকে ঘুম থেকে তোলে, আমরা সবাই রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। তারপর থেকে আমি ওকে কথা শিখাতে ‍শুরু করি। সে এখন মোটামুটি সব কথা বলতে পারে। আমি স্কুলে যাওয়ার সময় সে আমাকে আল্লাহ হাফেজ বলে বিদায় জানায়। আমাদের বাড়িতে কেউ এলে মিঠু কুটুম, কুটুম বলে ডাকতে থাকে। মিঠুকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য বললেই চলে। মিঠু এখন আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। 

"প্রিয়তমা"

ছবি
মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন ব্যাচঃ 1978 বীনা--- চিঠির জবাব পাইনি বলে- রাগতো আমি করিনি কভু শুধু নিজের কথাটা বোঝাতে পারিনি তোমায়। হ্যাঁ- একজন প্রেমিকা আছে বটে আমার কিন্তু সে তো অন্যদশের মতো রক্ত মাংসের নারী নয় কোন অনেক পরে আজ ভাঙলো তব ভুল বলতে পারো এও কী সম্ভব? পরিচয় জানো? শোনে রাখো তবে নাম তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’। তাকেই আমি প্রাণাধিক ভালোবেসেছিলাম আমার প্রেমানুভূতির কাছে হার মেনেছে সম্রাট শাহজাহানের প্রেমিকা মমতাজ আর- যমুনার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বখ্যাত মহাবিস্ময় সেই তাজমহল। সুদৃঢ প্রতিজ্ঞায় বলেছিলো সে নতুন দেশে- নতুন সমাজে- নতুন রাষ্ট্রীয় জীবনাচরণে অবারিত সুরের মূর্ছনায় শোনাবে সে নব জীবনের মহাজয়গান। যেখানে নেই দুর্বিসহ নির্মম যন্ত্রনা যেখানে নেই অন্যায়-অবিচার-শোষন-বঞ্চনা যেখানে নেই জাতপাত-ধর্ম-বর্ণ-ভেদাভেদ যেখানে নেই অমানবিক রীতিনীতির মরণফাঁদ  যেখানে নেই আত্মবিলাসী ঘৃণিত স্বার্থপরতা। ইতিহাসে তার আগমন ছিলো তেজোদীপ্ত দুরন্ত দুর্বার। বিশ্ব কাঁপিয়ে রক্তাক্ত নিশান হাতে পদ্মা- মেঘনা- সুরমা- আর যমুনার স্বচ্ছ তরঙ্গমালা করেছে লালে লাল। কিন্তু তার...

মাদক থেকে ফিরে আসার আহ্বান

ছবি
তাসনুভা লোটাস, ১০ শ্রেণি মীরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শুনরে মাদক সেবী ভাই; আয় ফিরে আয় মাদক ছেড়ে সুন্দর জীবন গড় ধরায়। তোমার দিকে তাকিয়ে আছে মা-বাবা ভাইবোন, তাদের ছেড়ে কেন করছ বিপথে গমন অসময়ে করিসনা ভাইরে জীবন হরণ। পাড়ার তোমায় সবাই বাসতো ভালো বিশ্বাস করত অতি; মাদক গ্রহণে কেন রে ভাই করলি নিজের ক্ষতি। সময়ে তোর অসৎ কাজে মনটা তোর আজ শুধু বাজে; মিথ্যে আশায় সাজলিরে তাই নোংরা সাজে। মায়ের অতি লক্ষী মেয়ে ভালো কিছু দেখতো চেয়ে; হঠাৎ একজন বন্ধু হল মাদক নামে ক্ষত। ভালোবাসা-মায়ার-বাঁধন এক নিমেষে জুড়ায় কাঁদন; জীবন হলো ছারখার  মাদক হলো মৃত্যুর কারণ।।

গাছের সাথে মনের কথা

ছবি
বিবি মরিয়ম ৭ম শ্রেণি শুনছ কি গাছের পাতা আমার এই মনের কথা যদি শোন আমার কথা দিয়ে দাও একটি পাতা লিখবো আমি মনের কথা। শুন যে তুমি মন দিয়ে মজা করবো তোমায় নিয়ে নানা রকম ছন্দ দিয়ে একটু হাসি, একটু চাওয়া সবই তোমার কাছে পাওয়া। অল্প স্বল্প গল্প করে থাকবো তোমার কল্পনাতে তুমি আমার কথার সাথি কষ্ট পেলে তোমায় ভাবি  তুমি আমার প্রিয় বন্ধু তোমার রঙে রাঙিয়ে দিও ছাড়বো না আমি কখনো তোমায় ভুলনা তুমি কোন দিন আমায়। 

'পাঠশালা'র ১ম সংখ্যার বিজয়ীদের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ

ছবি
সৃজনশীল লেখালেখিকে উৎসাহিত করার লক্ষে গত ১৫.০২.২০১৮ তারিখ যাত্রা শুরু করে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের একটি  ব্লগ সাইট । এরপর থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে উক্ত  ব্লগে।  পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে পরিষদের একটি সেতুবন্ধন তৈরির লক্ষে এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল লেখালেখির সুযোগ করে দিতে এই  ব্লগে  আলাদাভাবে  পাঠশালা  নামে একটি বিভাগ খোলা হয়। এই বিভাগটি নির্ধারিত হয় শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল লেখা প্রকাশের জন্য।  আগস্ট '১৮ মাসে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সংগৃহীত লেখা ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হয়  পাঠশালা  বিভাগে। প্রতিটি শ্রেণি থেকে প্রায় একশতজন শিক্ষার্থী সৃজনশীল লেখা জমা দেয়। শিক্ষার্থীদের লেখাসমূহ হতে বাছাই করে প্রতি শ্রেণি হতে একজন করে শিক্ষার্থীকে সেরা লেখক নির্বাচন করে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মহিউদ্দিনের উপস্থিতিতে গত ০১.০৯.২০১৮ তারিখে বিজয়ীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুল...

সৃষ্টিকর্তার অপরূপ দৃষ্টি

ছবি
অরিজিৎ দেবনাথ শ্রেণিঃ দশম কী অপরূপ দৃষ্টি তুমি করেছ সৃষ্টি যেদিকে তাকাই সেদিকে তোমার অপরূপ সব সৃষ্টি। দিয়েছ তুমি চোখ দেখেছি নানা লোক তাদের কথাগুলো বুঝবে কী সবগুলো? পৃথিবী কী যে সুন্দর দেখেছ কী কোন দিন দেখলে তুমি গাছ লাগিয়ে পৃথিবী করতে রঙিন। কেউবা দেখতে ফর্সা কেউবা দেখতে কালো তাদের হাসিগুলো দেখতে লাগে ভালো। সবার আগে উঠে দেখি শিশির ভরা মাঠ শিশিরগুলো পাতার উপর বসে আছে চুপচাপ। ভোর সকালে ঘুম ভাঙ্গে নানা পথিক ডাকে এত মধুর শব্দগুলো আসছে কোথা থেকে? গ্রামের পাখির ডাকগুলো এতই সুন্দর মন চায় শুধু শুনতে থাকি পাখির কোলাহল। পাখির ডাক শুনতে পাবে গ্রামে সারাদিন শুনে এতই মজা পাবে মন হবে রঙিন। সকাল থেকে পাখিরা সব কিঁচিমিচি ডাকে নানা পাখির ডাক শুনে বোনটি খুশি থাকে। 

শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং শ্রেণিপাঠ

ছবি
মাষ্টার এম, গিয়াস উদ্দিন (ব্যাচঃ ১৯৭৮) সাহসী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলতে ঠিক কী বোঝায়? মায়ের প্রতি সুগভীর ভালোবাসা বলতে আমরা কি বুঝি? তার একটি বিশেষ ধারণা আমরা এ আলোচনায় পেতে পারি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম শুনেনি শিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে খুবই কম আছে। বিগত প্রায় সুদীর্ঘ বছর আগের কথা হলেও বিষয়টি এখনও আমার স্মৃতিপটে বেশ স্মরণীয় হয়ে আছে। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে আমাদের বাংলা পড়াতেন অত্র এলাকার হাজারো ছাত্রছাত্রীর প্রিয় শিক্ষক বাবু সুভাষ চন্দ্র আচার্য্য। তিনি বিগত বেশ কিছু বছর আগে নিয়ম মাফিক অবসরে গেছেন। তিনি মীরসরাই হাই স্কুলের ১৯৬৭ ব্যাচের ছাত্র।  যাক আসল কথায় ফিরে আসি। সেদিন নিয়মানুসারে স্যার ক্লাসে এলেন। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ীর কাজ সহ খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো দেখলেন। তারপর বই হাতে নিয়ে বললেন আজকের পড়া হচ্ছে ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’। এ প্রথমবারের মত আমরা বাংলা সাহিত্যের বিশাল জ্ঞানী গুনী ও মানবতাবাদী একজন ব্যাক্তিত্বের নাম শুনলাম। প্রথমে স্যার তেমন কিছু বলেননি। বই দেখে Reading পড়া শুরু করলেন। তারপর আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় স্যার বই বন্ধ করলেন। সেই আলোচিত ...